বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৪
সম্পর্কিত শিরোনামগুলো | |
---|---|
| |
অংশগ্রহণ | |
দীর্ঘ পঁয়ষট্টি বছরের বিচ্ছিন্নতার পর চীন ও তাইওয়ানের মধ্যে ১১-ই ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার থেকে চার দিনব্যাপি ঐতিহাসিক সংলাপ শুরু হয়। চীনের পূর্বাঞ্চলের জিয়াংসু প্রদেশের নানজিং শহরে তাইওয়ানের চীন বিষয়ক নীতির তত্ত্বাবধায়ক ওয়াং ইউ চি ও চীনের তাইওয়ান বিষয়ক প্রধান ঝ্যাং ঝিজুনের মধ্যকার দীর্ঘ প্রতীক্ষিত আলোচনাটি আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়।
১৯৪৯ সালে সাম্যবাদী নেতা মাও সে তুং জাতীয়তাবাদী নেতা চিয়াং কাই শেককে পরাজিত করে চীনে সাম্যবাদী সরকার গঠন করে। এদিকে পরাজিত শেকের বিশ লাখ সমর্থক তাইওয়ানে পালিয়ে যায় এবং পৃথক সরকার গঠন করে। চীন এখনও যাকে “বিদ্রোহী” হিসেবে আখ্যায়িত করে রেখেছে। কিন্তু উভয় সরকার-ই নিজেদেরকে প্রকৃত শাসক হিসেবে দাবি করে আসছে। উল্লেখ্য চীনের দাপ্তরিক নাম গণপ্রজাতন্ত্রী চীন আর তাইওয়ানের রাষ্ট্রীয় নাম প্রজাতন্ত্রী চীন। দীর্ঘ বিচ্ছিন্নতার পর নব্বইয়ের দশকে সীমিত পর্যায়ে যোগাযোগ শুরু হয় যা বর্তমানে আনুষ্ঠানিক সংলাপে রূপ নিয়েছে। এই সংলাপের মাধ্যমে চীনের কাছ থেকে অর্থনৈতিক সুবিধা ও নিরাপত্তা লাভের আশ্বাস পাওয়াই হবে তাইওয়ানের লক্ষ্য। অন্যদিকে চীনের সাম্যবাদী কর্তৃপক্ষের লক্ষ্য অন্যান্য চীনা অঞ্চলের মত এই দ্বীপ রাষ্ট্রটিকে শাসনে আনা। অনেকটা প্রতীকি এই আলোচনায় কোনো পক্ষ থেকেই এখন পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো প্রস্তাব দেয়া হয়নি।
উৎস
edit- "China and Taiwan to hold historic talks" — এএফপি, ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ (ইংরেজি)
- "China and Taiwan in first government talks" — বিবিসি নিউজ, ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ (ইংরেজি)