মঙ্গলবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪
বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মঙ্গলবার জানিয়েছে, মিয়ানমার থেকে প্রায় আট হাজার রোহিঙ্গা মুসলিম শরণার্থী গত দুই মাসে দেশে প্রবেশ করেছে। মিয়ানমারের সামরিক জান্তা ও আরাকান আর্মির মধ্যে সংঘাত তীব্রতর হয়েছে, বিশেষ করে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে। বাংলাদেশি কর্মকর্তাদের মতে, দেশটি আর কোনো শরণার্থীদের জন্য মানবিক আশ্রয় দিতে সক্ষম নয়, এবং নতুন শরণার্থীদের প্রবেশ ঠেকাতে আলোচনা হয়েছে। ২৫ আগস্ট, যা রোহিঙ্গাদের মিয়ানমার থেকে পালাতে বাধ্য করার সংঘাতের সাত বছর পূর্তি হিসেবে চিহ্নিত, বাংলাদেশের শরণার্থী শিবিরে হাজার হাজার মানুষ সমাবেশে অংশ নেয়।
কোটিরও বেশি রোহিঙ্গা শরণার্থীর কারণে বাংলাদেশি কর্মকর্তারা এখন আন্তর্জাতিক সাহায্যের জন্য আবেদন জানাচ্ছেন, যেন এই মানবিক সংকট মোকাবিলায় সহায়তা করা যায়। কারণ মিয়ানমার বর্তমানে রোহিঙ্গাদের মৌলিক মানবাধিকার প্রদান করে না এবং তারা নিজ দেশে ফিরে যেতে সক্ষম নয়।
"বাংলাদেশ ইতোমধ্যেই অতিমাত্রায় চাপের মধ্যে রয়েছে এবং আর কোনো রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিতে অক্ষম," বলেছেন মোহাম্মদ শামসুদ দৌজা, একজন বাংলাদেশি কর্মকর্তা যিনি শরণার্থীদের নিয়ে কাজ করেন।
অন্য এক কর্মকর্তা মোহাম্মদ তৌহিদ হোসেন ভারত ও অন্যান্য দেশকে শরণার্থীদের প্রবেশের অনুমতি দিতে এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে আরাকান আর্মিকে রোহিঙ্গাদের ওপর আক্রমণ বন্ধ করার জন্য চাপ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। বাংলাদেশি মন্ত্রিসভা এই সপ্তাহে শরণার্থী পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করতে একটি বহুদিনব্যাপী বৈঠক পরিকল্পনা করেছে।
উৎস
editএই নিবন্ধটি আংশিক বা সম্পূর্ণভাবে ক্রিয়েটিভ কমন্স অ্যাট্রিবিউশন ২.৫ এর অধীনে ইংরেজি উইকিসংবাদের প্রতিবেদিত নিবন্ধ Around 8,000 Rohingya Muslims have fled to Bangladesh থেকে গৃহীত অথবা অনুপ্রাণিত হয়েছে।
- "Around 8,000 Rohingya flee to Bangladesh due to escalating violence in Myanmar" — ইএফই, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪
- রুমা পল। "Thousands of Rohingya flee to Bangladesh from violence in Myanmar, official says" — রয়টার্স, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪