রবিবার, ৮ অক্টোবর ২০২৩
সম্পর্কিত শিরোনামগুলো | |
---|---|
| |
অংশগ্রহণ | |
পরিস্থিতির একটি মর্মান্তিক মোড়কে, গতকাল ৭ অক্টোবর, ইসরায়েল এবং হামাস একটি নতুন এবং বিধ্বংসী সংঘর্ষে নিমজ্জিত হয়েছে কারণ হামাস অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকা থেকে ফিলিস্তিনি যোদ্ধাদল আকাশ ও স্থলপথে আক্রমণ শুরু করেছে৷ এই সংঘাতকে বছরের পর বছর ধরে উভয় পক্ষের মধ্যে ক্রমবর্ধান উত্তেজনার একটি অপ্রত্যাশিত ফলাফল রূপে গণ্য করা হচ্ছে।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু গাজায় ফিলিস্তিনি জঙ্গিদের দ্বারা ছোড়া রকেটের প্রতিক্রিয়ায় যুদ্ধ ঘোষণা করেছেন। একই সাথে, হামাস ইসরায়েলি ভূখণ্ডে প্রবেশের পর সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েন করেছে, এটি এমন একটি পদক্ষেপ যা চরমপন্থী গোষ্ঠী গাজা উপত্যকার নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর থেকে ১৭ বছরে প্রত্যক্ষ করা হয়নি।
ইসরায়েল জুড়ে সাইরেন বেজে উঠেছিল যা উত্তরে জেরুসালেম পর্যন্তও পৌঁছেছে, হামাসের দাবি অনুসারে গাজা থেকে ৫,০০০ এরও বেশি রকেটের নিক্ষেপণ করা হয়েছিল। ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী অনুমান করেছে যে হতাহতের সংখ্যা প্রায় ২,২০০। ইসরায়েলের আয়রন ডোম ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা থাকা সত্ত্বেও বহু হতাহতের খবর পাওয়া গেছে।
ইসরায়েল "অপারেশন সোর্ডস অফ আয়রন" দ্বারা দ্রুত প্রতিক্রিয়া নেয়, বিমান হামলা শুরু করে যার ফলে অ্যাপার্টমেন্ট কমপ্লেক্স সহ অসংখ্য ভবন ধ্বংস হয়ে যায়। বেসামরিক সাধারণ জীবনযাপন এবং অর্থনৈতিক কাঠামোর উপর চাপ ও বিভ্রান্তি বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে।
এখন পর্যন্ত, ইসরায়েলে মৃতের সংখ্যা ১০০-এ দাঁড়িয়েছে এবং ৯০৮ জন আহত হয়েছে। অন্যদিকে গাজায় প্রতিশোধমূলক ইসরায়েলি বিমান হামলায় কমপক্ষে ১৯৮ জন নিহত হয়েছে। এছাড়াও, ইসরায়েলের অভ্যন্তরে পাঁচ হামাস জঙ্গি নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
গাজায় হামাসের সামরিক প্রধান মোহাম্মদ দেইফ জেরুজালেমের সংবেদনশীল আল-আকসা মসজিদ প্রাঙ্গণকে মুক্ত করার লক্ষ্যে একটি নতুন অভিযান শুরু করার ঘোষণা দিয়েছেন। এই পদক্ষেপকে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে হামাসের নতুন প্রচেষ্টার প্রাথমিক পর্যায় হিসেবে দেখা হচ্ছে।
বিশ্ব উদ্বেগ ও নিন্দার সাথে এই পরিস্থিতিতে সাড়া দিয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতি জো বাইডেন ইসরায়েলের প্রতি সমর্থন প্রকাশ করেছেন। এদিকে ইউরোপীয় কমিশনের রাষ্ট্রপতি উরসুলা ভন ডার লেইন, ফরাসি রাষ্ট্রপতি এমানুয়েল মাক্রোঁ এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, হামাসের হামলার নিন্দা করেছেন। ইরান এবং কাতার ফিলিস্তিনিদের সমর্থনে সোচ্চার হয়েছে, যখন সৌদি আরব যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছে। তাছাড়া হিজবুল্লাহর সাথে সহিংসতা অধিকৃত পশ্চিম তীর বা উত্তর ফ্রন্টে ছড়িয়ে পড়লে আঞ্চলিক অস্থিতিশীলতার আশঙ্কা বাড়ছে।
উৎস
edit- বেথান ম্যাককার্নান। "Israel and Hamas at war after surprise attacks from Gaza Strip" — দ্য গার্ডিয়ান, ৭ অক্টোবর, ২০২৩ (ইংরেজি)
- ইয়োলান্দে নেল। "হামাসের হামলায় হতভম্ব ইসরায়েল, এর পরে কী হতে পারে?" — বিবিসি বাংলা, ৮ অক্টোবর, ২০২৩
- "হামাস–ইসরায়েল যুদ্ধ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র, আরব লিগসহ কারা কী বলছে" — দৈনিক প্রথম আলো, ৮ অক্টোবর, ২০২৩
- সুভম মুখোপাধ্যায়। "রকেট হামলায় বিধ্বস্ত ইজরায়েলে ছড়িয়ে বহু লাশ, বন্দি প্রচুর! পাল্টা বিমানহানা গাজায়" — নিউজ ১৮ বাংলা, ৭ অক্টোবর, ২০২৩
- পল্লবী দে। "Israel: রণক্ষেত্র গাজা, অশান্ত ইজরায়েলের পাশে দাঁড়াল ব্রিটেন, আমেরিকা" — আনন্দবাজার পত্রিকা, ৮ অক্টোবর, ২০২৩