Wn/bn/ভারত ২০২৪ সালের সাধারণ নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে, রাজনৈতিক সমাবেশ ক্রমবর্ধমান

< Wn | bn
Wn > bn > ভারত ২০২৪ সালের সাধারণ নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে, রাজনৈতিক সমাবেশ ক্রমবর্ধমান

শুক্রবার, ১২ এপ্রিল ২০২৪

লোকসভা নির্বাচন ২০২৪
লোকসভা নির্বাচন ২০২৪
সম্পর্কিত শিরোনামগুলো
অংশগ্রহণ
ভূমিকা    সংবাদকক্ষ    নিবন্ধ সৃষ্টিকরণ
২০২৪-এ ভারতের সাধারণ নির্বাচন
২০২৪-এ ভারতের সাধারণ নির্বাচন
বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (বামে) এবং মল্লিকার্জুন খড়গে, কংগ্রেস দলের সভাপতি (ডানে)।
চিত্র কৃতিত্ব: প্রধানমন্ত্রীর অফিস / শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়।

ভারত ইতিহাসের সবচেয়ে বড় গণতান্ত্রিক অনুশীলন আয়োজিত করার প্রতিশ্রুতি পূর্ণ করার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। ২০২৪ সালের ভারতের সাধারণ নির্বাচন ১৯ এপ্রিল থেকে ১ জুন পর্যন্ত ছয় সপ্তাহের মধ্যে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, টানা তৃতীয় মেয়াদের জন্য নির্বাচন লড়ছেন। ক্ষমতাসীন বিজেপি দলের বিরুদ্ধে প্রধান বিরোধীপক্ষ হিসেবে রয়েছে ইন্ডিয়া জোট।

বিবিসির একটি প্রতিবেদন দাবি করে যে, সাম্প্রতিক জনমত জরিপ অনুসারে, মোদির ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) এবং তার জোট লোকসভায় তথা ভারতের নিম্ন সংসদীয় কক্ষে, টানা তৃতীয়বারের মতো জয় নিশ্চিত করার সম্ভাবনা রয়েছে। ২০১৯ সালের নির্বাচনে, বিজেপি ৩০৩টি আসন অর্জন করেছিল, যা জাতীয় গণতান্ত্রিক জোটের মোট ৩৫২টি আসনের সামগ্রিক সংখ্যায় সর্বাধিক অবদান রেখেছিল।

নির্বাচনী এলাকার আসন অনুযায়ী নির্বাচনের সময়সূচী, ভারতের মানচিত্রে

এই নির্বাচনে প্রাথমিক প্রতিদ্বন্দ্বিতা আসে প্রধান বিরোধী দল ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন জোট থেকে। দিল্লির আম আদমি পার্টি (এএপি) এবং উল্লেখযোগ্য আঞ্চলিক সত্ত্বা সহ দুই ডজনেরও বেশি দল নিয়ে গঠিত এই জোট, "ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল ডেভেলপমেন্টাল ইনক্লুসিভ অ্যালায়েন্স" (ইন্ডিয়া) নামে পরিচিত, যারা ক্ষমতাসীন বিজেপির সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে।

ইন্ডিয়া জোটের প্রধান ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খারগে, রাহুল এবং প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর সহিত গান্ধী রাজনৈতিক রাজবংশের বংশধর। অন্যদিকে, এএপি বিতর্কের সম্মুখীন হয়েছে কারণ এই দলের তিন নেতা সম্প্রতি দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছেন, তারা বিজেপির বিরুদ্ধে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার অভিযোগ তুলেছে, কিন্তু বিজেপি কোনপ্রকার প্রতিহিংসার কথা অস্বীকার করেছে।

নির্বাচনী প্রক্রিয়াটি ১৯ এপ্রিল থেকে শুরু করে এবং ১ জুনে শেষ হবে। ৪ জুন ফলাফল ঘোষণা করা হবে বলে আশা করা হচ্ছে। এই সাতটি স্তরে ভোটের সময়সূচীর লক্ষ্য হল দেশ জুড়ে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা এবং লক্ষ লক্ষ ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের রক্ষণাবেক্ষণ।

নির্বাচন যতই ঘনিয়ে আসছে, রাজনৈতিক দলগুলি তাদের পদ প্রচারণা জোরদার করছে এবং ভোটারদের সমর্থন আদায়ের জন্য নেতাদের সমাবেশ করছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জম্মু ও কাশ্মীরের উধমপুরে একটি নির্বাচনী জনসভায় ভাষণ দিয়েছেন, এরপর রাজস্থানে আরেকটি সমাবেশের ব্যবস্থা রয়েছে। এদিকে, কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী তামিলনাড়ুর দিকে মনোনিবেশ করেছেন, কোয়েম্বাটোর এবং তিরুনেলভেলিতে জনসভা পরিচালনা করছেন। একটি যৌথ প্রচেষ্টায়, তেলেগু দেশম পার্টির প্রধান এন চন্দ্রবাবু নাইডু এবং জনসেনা পার্টির প্রধান পবন কল্যাণ অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী জগন মোহন রেড্ডিকে লক্ষ্য করে পূর্ব গোদাবরীতে একটি রোডশো পরিচালনা করেছিলেন। তারা রাজ্যের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর উদ্বেগগুলি সমাধান করার জন্য এনডিএ জোটের সাথে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

একটি উচ্চ-নির্বাচনী প্রতিযোগিতার জন্য মঞ্চ তৈরি করার সাথে সাথে, ভারত তার গণতান্ত্রিক যাত্রায় একটি গুরুত্বপূর্ণ মুহুর্তের জন্য প্রস্তুত হচ্ছে; যেখানে লাখ লাখ মানুষের কণ্ঠ আগামী বছরগুলির জন্য দেশের গতিপথকে রূপ দেবে।

সম্পর্কিত সংবাদ

সহ প্রকল্প নিবন্ধ

আরও পড়ুন


উৎস