শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪

![]() | |
সম্পর্কিত শিরোনামগুলো | |
---|---|
| |
অংশগ্রহণ | |
![]() |
মঙ্গলবার, ভারতের আইনমন্ত্রী লোকসভায় 'এক দেশ, এক নির্বাচন' বিল উত্থাপন করেন। প্রস্তাবিত আইনটি লোকসভা ও রাজ্য বিধানসভাগুলির নির্বাচনকে একত্রিত করে একই দিনে বা নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে একসঙ্গে পরিচালনার পরিকল্পনা করে। ভোটাভুটিতে, ২৬৯ জন সদস্য বিলের পক্ষে সমর্থন দেন, যখন ১৯৮ জন এর বিরোধিতা করেন।
ভোটের পরে, প্রস্তাবিত সংশোধনীগুলি পর্যালোচনার জন্য উভয় কক্ষের ২১ জন সদস্য নিয়ে একটি যৌথ সংসদীয় কমিটি গঠন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কমিটি আগামী ৯০ দিনের মধ্যে খসড়া বিলটি পর্যালোচনা করবে।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, যিনি বিলটির দৃঢ় সমর্থক, বলেন যে "বারবার নির্বাচন জাতির অগ্রগতির পথে বাধা সৃষ্টি করছে" এবং এই সমস্যার সমাধানের জন্য একটি সুনিয়ন্ত্রিত নির্বাচনী প্রক্রিয়ার প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করেন।
মার্চ মাসে, সরকার প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি রাম নাথ কোবিন্দের নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করে সমন্বিত নির্বাচনের সম্ভাব্যতা পরীক্ষা করার জন্য। কমিটি একটি ১৮,৬২৬ পৃষ্ঠার প্রতিবেদন জমা দেয়, যেখানে রাজ্য ও সাধারণ নির্বাচনের পাশাপাশি স্থানীয় নির্বাচনগুলোও ১০০ দিনের মধ্যে একসঙ্গে পরিচালনার সুপারিশ করা হয়। কমিটি রাজনৈতিক দলগুলির মতামত চেয়ে ৪৭টি প্রতিক্রিয়া পায়, যার মধ্যে ৩২টি প্রস্তাবটির পক্ষে ছিল।
তবে, বিরোধী দলগুলি, বিশেষ করে 'ইন্ডিয়া' জোটের সদস্যরা, প্রস্তাবটির সমালোচনা করেন। তাদের যুক্তি ছিল যে সমন্বিত নির্বাচন ভারতের সংসদীয় ব্যবস্থাকে দুর্বল করতে পারে এবং আঞ্চলিক দলগুলির তুলনায় বৃহৎ জাতীয় দলগুলিকে সুবিধা দিতে পারে।
তবে, বিলটির সমর্থনে থাকা বিজেপি-নেতৃত্বাধীন জোট যুক্তি দিয়েছে যে এটি নির্বাচনের সাথে সম্পর্কিত খরচ উল্লেখযোগ্যভাবে কমিয়ে আনবে এবং সরকারগুলোকে নির্বাচনী প্রচারণায় ব্যস্ত না থেকে শাসনকার্যে বেশি মনোযোগ দিতে সহায়তা করবে।
উৎস
edit- নিকিতা যাদব। "Decoding India's 'One Nation, One Election' plan" — বিবিসি, ১৭ ডিসেম্বর, ২০২৪। (ইংরেজি)
- "JPC to consider One Nation, One Election bill: What happens next?" — দ্য ইকোনমিক টাইমস, ১৮ ডিসেম্বর, ২০২৪। (ইংরেজি)
- মনোজ সি জি। "Did Opposition score a ‘win’ as government introduced ‘One Nation, One Election’ Bills? What the rules say" — ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস, ১৮ ডিসেম্বর, ২০২৪। (ইংরেজি)