Wn/bn/প্রধান বিরোধী দলহীন নির্বাচনের পর বাংলাদেশে সহিংসতা

< Wn‎ | bn
Wn > bn > প্রধান বিরোধী দলহীন নির্বাচনের পর বাংলাদেশে সহিংসতা
  এই নিবন্ধটি ২৪ এপ্রিল, ২০২৪ অনুযায়ী নিরীক্ষণ বা পর্যালোচনা করা হয়নি। এখানে প্রদর্শিত তথ্যগুলোর পুনঃমূল্যায়ন করুন। (আরও জানুনশোধন)

বুধবার, ৮ জানুয়ারি ২০১৪

জাতীয় সংসদ ভবন
রাজনীতি ও দ্বন্দ্ব
রাজনীতি ও দ্বন্দ্ব
সম্পর্কিত শিরোনামগুলো
অংশগ্রহণ

বাংলাদেশের দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর দিনদিন সহিংসতা বাড়ছে। দেশটির বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় বিরোধী জোট এই নির্বাচন বর্জন করে এবং প্রতিহতের হুমকি দেয়। বাংলাদেশের সংসদীয় গণতন্ত্রে প্রতিষ্ঠিত বলে সংবিধান অনুযায়ী দেশটিতে প্রতি পাঁচ বছর অন্তর জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এই নির্বাচনকে কেন্দ্র করেই বর্তমানে শেখ হাসিনাখালেদা জিয়া নেতৃত্বাধীন দুই প্রধান দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগবাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের মধ্যে মরুকরণ শুরু হয়। আওয়ামী লীগের দাবি পৃথিবীর অন্যান্য দেশের সংসদীয় গণতন্ত্র মোতাবেক বাংলাদেশেও শেখ হাসিনা অর্থাৎ নির্বাচন পূর্ববর্তী সরকারের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে আর বিএনপির দাবি পূর্বের মতো বর্তমানেও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন (এটি স্থায়ী সমাধান নয়)। বাংলাদেশে সাবেক স্বৈরশাসক এরশাদের পতনের পর অধিকাংশ সংসদ নির্বাচন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত হয়েছে। ৫ জানুয়ারি দেশটিতে ১০ম সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।

দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতা শুরু হয়। ২০০৮ সালের ৯ম সংসদ নির্বাচন ব্যাতিত এর আগের অধিকাংশ নির্বাচনের পরও সহিংসতা হয়েছিল। উল্লেখ্য যে ২০০৮ সালে সেনাবাহিনী সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে উৎসবমুখর পরিবেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়, এবং শান্তিপূর্ণ ভাবে ক্ষমতা হস্তান্তরিত হয়। নির্বাচনের দিন দেশটির ১১ জেলায় ১৯ জন প্রাণ হারায়। নির্বাচনের দিন পর্যন্ত ১১১টি স্কুল এবং ৮ জানুয়ারি পর্যন্ত ৫৩১টি স্কুলে আগুন দেয়া হয়, যা নির্বাচনের সময় ভোট কেন্দ্র হিসেবে ছিল। এর মধ্যে বিনামূল্যে বিতরিত বইও ছিল। বাংলাদেশ সরকার ২০১৪ শিক্ষা বছরে ৩০ কোটির অধিক বই বিনামূল্যে, যা একটি অনন্য রেকর্ড। প্রতি নির্বাচনের পরই বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের আক্রমণ হয়। এর ফলে অনেকে প্রতিবেশী ভারতে দেশান্তরিত হয়, বর্তমান অবস্থায়ও তা দেখা যাচ্ছে। উল্লেখ্য যে ১৯৪৭ সালে ভারত ভাগের সময় বাংলাদেশে (তৎকালীন পূর্ব-পাকিস্তান) ৪২% শতাংশের উপরে সংখ্যালঘু সম্প্রদায় বাস করত বর্তমানে যা ৯%। এর অধিকাংশই বাংলাদেশে স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় দেশান্তরিত। এর জন্য জামায়ত ইসলামকে দায়ী করা হয়, তার শুধু হিন্দু স্বাধীনতার পক্ষে বাঙ্গালি মুসলিমদের উপরও হামলা চালায়। এই দলটিকে শেখ মুজিবর রহমানের সরকার রাজনীতি থেকে নিষিদ্ধ করে, যদিও ৭৫-র পরবর্তী সামরিক সরকার তাদের রাজনীতি করার অধিকার দেয় ও পুনর্বাসিত করে। বর্তমানের সহিংসতার জন্য তাদেরকে দায়ী করা হচ্ছে। জামায়তে ইসলাম বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় বিরোধী জোটের অন্যতম সদস্য। সংখ্যালঘুদের অভিযোগ তারা প্রশাসনকে অবগত করলেও প্রশাসন এগিয়ে আসেনি। বর্তমানে দেশটির বিভিন্ন স্থানে সেনাবাহিনী মোতায়েন রয়েছে। অনেকের অভিযোগ এই বিষয়ে শেখ হাসিনার সরকার উদাসীন। এই দিকে শেখ হাসিনা বলেছেন সহিংসতা দমনে তারা কঠোর হতে বাধ্য হবে। অন্যদিকে বিরোধী দলীয় নেত্রী খালেদা জিয়া বাংলাদেশর সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখার আহ্বান জানিয়েছেন। এই ব্যাপারে দুইজন-ই একে অপরের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক বক্তব্য দিয়েছেন।

অনেকের মতে মতে বাংলাদেশের এই সঙ্কট থেকে উত্তরণের একমাত্র উপায় হচ্ছে মধ্যমপন্থী দুই দলের প্রধান মধ্যে সমঝোতা। দুই নেত্রীই এই সমঝোতার জানিয়েছে। আওমীলীগ নেত্রী হাসিনা এখানে শর্ত উল্লেখ করে বলেছেন বিএনপি-কে যুদ্ধপরাধের দায়ে অভিযুক্ত জামায়ত ইসলামীর সঙ্গ ত্যাগ করতে হবে ও সহিংসতা বন্ধ করতে হবে। উল্লেখ্য যুদ্ধপরাধের দায়ে জামায়ত ইসলামীর শীর্ষস্থানীয় এক নেতার ফাঁসী কার্যকর হয়েছে ও কয়েকজন বিচারাধীন রয়েছে। আর বিএনপি-র দাবি নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন। বিরোধী দলের অনেক নেতা বর্তমানে কারাগারে আটক রয়েছে। ২৪ জানুয়ারি ৯ম সংসদের মেয়াদ শেষ হবে।



উৎস edit


শেয়ার করুন!

ইমেইল করুন এই খবরকে

ফেসবুকে শেয়ার করুন

টেলিগ্রামে শেয়ার করুন

লিঙ্কডইনে শেয়ার করুন

টুইটারে শেয়ার করুন

শেয়ার করুন!

ইমেইল করুন এই খবরকে

ফেসবুকে শেয়ার করুন

টেলিগ্রামে শেয়ার করুন

লিঙ্কডইনে শেয়ার করুন

টুইটারে শেয়ার করুন