Wn/bn/ঘূর্ণিঝড় মিগজাউম চেন্নাইয়ের উপর আছড়ে পড়ে: বিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা ও ত্রাণ প্রচেষ্টা চলমান
শুক্রবার, ৮ ডিসেম্বর ২০২৩
সম্পর্কিত শিরোনামগুলো | |
---|---|
| |
অংশগ্রহণ | |
ভারতের তামিলনাড়ুর রাজধানী চেন্নাই ঘূর্ণিঝড় মিগজাউমের সাক্ষী হয় যা এই সপ্তাহের শুরুতে স্থলভাগে আছড়ে পড়ে এবং ভারতের দক্ষিণ উপকূলে ধ্বংসযজ্ঞ চালায়। অবিরাম বৃষ্টিপাত শহরকে প্লাবিত করতে থাকায় চেন্নাইয়ের কিছু অংশ জলাবদ্ধ থেকে যায়, যা রাজ্য সরকারকে চেন্নাই জেলার বিদ্যালয় ও কলেজগুলি বাকি দিনের জন্য বন্ধ করার জন্য প্ররোচিত করে।
বৃহস্পতিবার জারি করা এক দাপ্তরিক বিবৃতিতে তামিলনাড়ু সরকার জানায় যে ক্রমাগত বন্ধের কারণ হিসাবে বৃষ্টি-বিধ্বস্ত এলাকায় ত্রাণ প্রচেষ্টা ও উদ্ধারকার্য চলমান রয়েছে। কিছু বাসিন্দা মৌলিক প্রয়োজনীয়তাগুলি উপলব্ধি করতে অসুবিধার কথা জানান এবং ঘন ঘন বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণে শহরের মুখোমুখি হওয়া সমস্যা গুলিকে আরও বাড়িয়ে তোলে।
দুঃখজনকভাবে, এখন পর্যন্ত ঘূর্ণিঝড় সম্পর্কিত ঘটনার কারণে তামিলনাড়ুতে কমপক্ষে ২৮ জন প্রাণ হারিয়েছেন। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব শুধু চেন্নাইয়ে সীমাবদ্ধ নয়; প্রতিবেশী অন্ধ্রপ্রদেশও ঘূর্ণিঝড় মিগজাউমের স্থলভাগে আছড় প্রত্যক্ষ করেছে। এরই সাথে ঘূর্ণিঝড় দুর্বল হয়ে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে।
চরম আবহাওয়া জনীত ঘটনাগুলির জন্য চেন্নাইয়ের দুর্বলতা ও ব্যর্থতা ২০১৫ সালের মারাত্মক বন্যার স্মৃতি দ্বারা তুলে ধরা হয়েছে, যা ২০০ জনেরও বেশি প্রাণ নিয়েছিল। বিশেষজ্ঞরা বহু ভারতীয় শহরে অনিয়ন্ত্রিত নির্মাণ কাজ এবং দুর্বল নগর পরিকল্পনাকে বারবার এই বিপর্যয় গুলির জন্য দায়ী করেছেন।
যদিও এই সমস্যা গুলো সত্ত্বেও, চেন্নাইয়ের পৌর কর্মকর্তারা সক্রিয়ভাবে ত্রাণ প্রচেষ্টায় নিযুক্ত রয়েছেন। যানবাহন চলাচলের সুবিধার্থে শহরের দক্ষিণ শহরতলির জলাবদ্ধ রাস্তাগুলি থেকে জল পাম্প করার জন্য সরঞ্জামগুলি মোতায়েন করা হয়েছে। রাবার এবং ফাইবার বোট ব্যবহার করে উদ্ধার অভিযান চালানোর মাধ্যমে গত তিন দিনে হাজার হাজার মানুষকে ত্রাণ শিবিরে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
উৎস
edit- "Chennai: Heavy rains from Cyclone Michaung leaves trail of destruction in city" — বিবিসি, ৯ ডিসেম্বর, ২০২৩ (ইংরেজি)
- "Cyclone Michaung: Chennai schools, colleges to remain shut tomorrow" — লাইভ মিন্ট, ৭ ডিসেম্বর, ২০২৩ (ইংরেজি)