রানা প্লাজার ধ্বসের পর আড়াই বছর পেড়িয়ে যাওয়ার পরও প্রায় ত্রিশ লক্ষ পোশাক শ্রমিক এখনো ঝুকিতে রয়েছে। এখন বাংলাদেশের পোশাক কারখানাগুলোতে শ্রমিকদের জীবন নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং কাজের পরিবেশ উন্নায়নের জন্য বেশ কিছু উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। ইউরোপ ও আমেরিকার রিটেইলারদের উদ্যোগে ‘বাংলাদেশ অ্যাকর্ড ফর ফায়ার অ্যান্ড বিল্ডিং সেফটি' এবং ‘অ্যালায়েন্স ফর বাংলাদেশ ওয়ার্কার সেফটি' নামে দুইটি শ্রমিক নিরাপত্তা কর্মসূচি চালু করা হয়েছে৷ এর আওতায় পশ্চিমা ব্র্যান্ডগুলোর কাছে যেসব কারখানা পোশাক রপ্তানি করে সেসব কারখানার কর্মপরিবেশ ও শ্রমিক নিরাপত্তা নিশ্চিতের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে৷ তবে নিউ ইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘স্টার্ন সেন্টার ফর বিজনেস অ্যান্ড হিউম্যান রাইটস'-এর এক প্রতিবেদন বলা হয়েছে যে, বাংলাদেশের সাত হাজারেরও বেশি কারখানা রপ্তানির জন্য পোশাক তৈরি করে৷ এর মধ্যে অর্ধেক অর্থাৎ প্রায় সাড়ে তিন হাজার কারখানা আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ডগুলোর জন্য পোশাক তৈরি করে৷ কিন্তু ঐ দুটি নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় রয়েছে মাত্র ১,৮০০টির মতো কারখানা৷ সে হিসেবে বাকি কারখানাগুলোর শ্রমিকদের নিরাপত্তা ঝুঁকির মুখে রয়েছে প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে। [1]
গত নভেম্বর মাসে বাংলাদেশ সরকার দেড় হাজার কারখানা পরিদর্শন করে। এবং বলা হয় যে প্রায় ৮১ শতাংশ কারখানা নিরাপদ।
[2]
থমাস রাইটার্স ফাউন্ডেশন নামক প্রতিষ্ঠান একটি ভিডিও প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে। ডিডাব্লিউ.ডিই থেকে জানা গেছে সেখানে একজন বলেন, ‘‘... ইউরোপীয় ক্রেতারা আমাদের কাছে এসে দুনিয়ার সবচেয়ে ভালো কমপ্লায়েন্স দাবি করবে আর দুনিয়ার সবচেয়ে কম টাকা দেবে, এটা কীভাবে সম্ভব? রয়টার্স-এর প্রতিবেদনে বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্ট-এর পরিচালক সারা হোসেন এরও মন্তব্য নেয়া হয়৷ তিনি বলেন, রানা প্লাজা ঘটনার পর বিশ্বে বাংলাদেশের পোশাক খাত নিয়ে যে ধরণের নেতিবাচক ধারণা শুরু হয়েছিল যেমন ‘মেড ইন বাংলাদেশ মিনস মেড উইথ ব্লাড' – সেটা শ্রমিকদের জন্য সহায়ক ছিল না৷