Wn/bn/২০২৪ সালের রসায়নে নোবেল পুরস্কার প্রোটিন গবেষণার জন্য প্রদান করা হয়েছে

< Wn | bn
Wn > bn > ২০২৪ সালের রসায়নে নোবেল পুরস্কার প্রোটিন গবেষণার জন্য প্রদান করা হয়েছে

শুক্রবার, ১১ অক্টোবর ২০২৪

আলফ্রেড নোবেলের ছবি, নোবেল পুরুষ্কারের প্রতিষ্ঠাতা
বাম দিকে রয়েছেন ডেমিস হাসাবিস এবং ডানে জন জাম্পার।
২০১৩ সালে ডেভিড বেকার

২০২৪ সালের রসায়নে নোবেল পুরস্কার ডেভিড বেকার, ডেমিস হাসাবিস এবং জন জাম্পারকে প্রোটিন বিজ্ঞান নিয়ে তাঁদের অগ্রগামী কাজের জন্য প্রদান করা হয়েছে। বেকারকে কম্পিউটেশনাল প্রোটিন ডিজাইনের জন্য সম্মানিত করা হয়েছে, অন্যদিকে হাসাবিস এবং জাম্পার প্রোটিন কাঠামো অনুমানের জন্য একটি মডেল তৈরি করার জন্য পুরস্কৃত হয়েছেন। এই গবেষণার প্রভাব চিকিৎসা, জৈবপ্রযুক্তি এবং উপাদান বিজ্ঞানের মতো ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ।

ডেভিড বেকার, ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন অধ্যাপক, ২০০৩ সাল থেকে অ্যামিনো অ্যাসিড সিকোয়েন্স ব্যবহার করে সম্পূর্ণ নতুন প্রোটিন তৈরি করার কাজ করে আসছেন। তাঁর কাজের মাধ্যমে এমন নতুন ধরনের প্রোটিন তৈরি করা হয়েছে যা ঔষধ বিজ্ঞান, ভ্যাকসিন এবং ন্যানোটেকনোলজিসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হতে পারে। প্রোটিন কিভাবে নির্দিষ্ট উদ্দেশ্যে তৈরি করা যেতে পারে তা বোঝার ক্ষেত্রে তাঁর গবেষণা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।

লন্ডনের গুগল ডিপমাইন্ডের সিইও ডেমিস হাসাবিস এবং প্রাক্তন গবেষক বিজ্ঞানী জাম্পার, প্রোটিন সম্পর্কে আরও গভীরভাবে বোঝার জন্য ভিন্ন একটি পদ্ধতি গ্রহণ করেছেন। তারা একটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা মডেল তৈরি করেছেন যা শুধুমাত্র অ্যামিনো অ্যাসিড বিন্যাসের ভিত্তিতে প্রোটিনের ত্রিমাত্রিক গঠন অনুমান করতে সক্ষম। এই সাফল্য কয়েক দশক ধরে চলা একটি বৈজ্ঞানিক চ্যালেঞ্জকে সমাধান করেছে এবং ওষুধের আবিষ্কার ও জৈবিক গবেষণায় নতুন পথ খুলে দিয়েছে।

প্রোটিন জীববিজ্ঞানের সকল প্রক্রিয়ায় কেন্দ্রীয় ভূমিকা পালন করে, এনজাইম, হরমোন এবং কোষের গঠন উপাদান হিসেবে কাজ করে। নতুন প্রোটিন তৈরি করা বা তাদের গঠন পূর্বানুমান করার সক্ষমতা চিকিৎসা উন্নয়ন, ভ্যাকসিনের উন্নতি এবং উদ্ভাবনী উপাদান তৈরি করার ক্ষেত্রে বিশাল সম্ভাবনা জাগিয়ে তুলেছে।

নোবেল কমিটির রসায়ন চেয়ারম্যান হেইনার লিঙ্কে এই পুরস্কারের গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, "এটি প্রোটিন বিজ্ঞানে দুটি বড় সাফল্যকে স্বীকৃতি দেয়—একটি প্রোটিন ডিজাইনে এবং অন্যটি কাঠামো অনুমানে"। লিঙ্কের মতে, উভয় আবিষ্কারই ভবিষ্যতের বৈজ্ঞানিক গবেষণার জন্য "ব্যাপক সম্ভাবনা" খুলে দিতে পারে।

আরও পড়ুন

edit


উৎস

edit