বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারি ২০২৫
![]() | |
সম্পর্কিত শিরোনামগুলো | |
---|---|
| |
অংশগ্রহণ | |
ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে বন্দি মুক্তি এবং যুদ্ধবিরতির বিষয়ে একটি চুক্তি সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইসরায়েল, মিশর এবং কাতারের কর্মকর্তারা।
- কেন এটি গুরুত্বপূর্ণ?
এই চুক্তির মাধ্যমে ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের মধ্যে কয়েক দশকের সবচেয়ে রক্তক্ষয়ী ১৫ মাসব্যাপী যুদ্ধের অবসান ঘটবে।
প্রায় ৯৮ জন বন্দি এখনও গাজায় আটকে আছেন, যাদের মধ্যে সাতজন আমেরিকান। ইসরায়েলি গোয়েন্দাদের মতে, বন্দিদের মধ্যে প্রায় অর্ধেক, যার মধ্যে তিনজন আমেরিকান, এখনও জীবিত।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের ইসরায়েলে আক্রমণের পর থেকে ইসরায়েলি হামলায় ৪৬,৫০০-এরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন বলে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।
চুক্তির প্রথম ধাপে ৩৩ জন বন্দি মুক্তি পাবেন এবং ইসরায়েলে আটক প্রায় ১,০০০ ফিলিস্তিনি বন্দিকে ছেড়ে দেওয়া হবে।
- সর্বশেষ তথ্য
কাতারের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন আব্দুলরহমান আল-থানি আনুষ্ঠানিকভাবে চুক্তি সম্পন্ন হওয়ার ঘোষণা দেন এবং জানান এটি রবিবার থেকে কার্যকর হবে। কায়রোতে একটি যৌথ মার্কিন-মিশরীয়-কাতারি দল যুদ্ধবিরতির বাস্তবায়ন পর্যবেক্ষণ করবে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন চুক্তিটি সম্পর্কে বলেন, "এটি হামাসের ওপর চরম চাপ, লেবাননে যুদ্ধবিরতির পরবর্তী পরিস্থিতি এবং ইরানের দুর্বল অবস্থার পাশাপাশি ধৈর্যশীল মার্কিন কূটনীতির ফলাফল।"
বাইডেন আরও জানান, প্রথম ধাপে কয়েকজন আমেরিকান বন্দি মুক্তি পাবেন। ইসরায়েলি কর্মকর্তারা জানান, এদের মধ্যে কিথ সিগেল এবং সাগুই ডেকেল-চেন অন্তর্ভুক্ত।
ইসরায়েলি মন্ত্রিসভা বৃহস্পতিবার সকালে এই চুক্তির অনুমোদনের জন্য বৈঠকে বসবে।
- বৃহত্তর চিত্র
ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে দীর্ঘ আলোচনা দোহার মধ্যস্থতায় চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছায়।
মার্কিন কূটনীতিক ব্রেট ম্যাকগার্ক এবং প্রেসিডেন্ট-নির্বাচিত ডোনাল্ড ট্রাম্পের দূত স্টিভ উইটকফ দোহায় থেকে আলোচনা চালিয়ে যান।
চুক্তির প্রথম ধাপে গাজার সীমান্তবর্তী অঞ্চল থেকে ইসরায়েলি বাহিনী ধীরে ধীরে সরে আসবে এবং ফিলিস্তিনিদের উত্তর গাজায় ফিরে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হবে।
৭০০-এর বেশি ফিলিস্তিনি বন্দি মুক্তি পাবে, যার মধ্যে অনেকেই ইসরায়েলি নাগরিকদের হত্যা করার অভিযোগে কারাদণ্ডপ্রাপ্ত।
- অগ্রগতি ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা
চুক্তির শর্ত অনুযায়ী:
- ৬০০টি ত্রাণবাহী ট্রাক প্রতিদিন গাজায় প্রবেশ করবে, যার মধ্যে ৫০টি জ্বালানি পরিবহন করবে।
- গাজায় বাস্তুচ্যুতদের জন্য ২ লক্ষ তাঁবু এবং ৬০ হাজার মোবাইল বাড়ি সরবরাহ করা হবে।
- ষোড়শ দিনের মাথায় দ্বিতীয় ধাপের আলোচনা শুরু হবে, যেখানে অবশিষ্ট বন্দি মুক্তি এবং একটি স্থায়ী যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনা হবে।
উৎস
edit- রয়টার্স। "১৫ মাসের যুদ্ধ শেষ করতে হামাস ও ইজরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতি চুক্তি" — রয়টার্স, ১৫ জানুয়ারি, ২০২৫। সংগ্রহের তারিখ: ১৬ জানুয়ারি, ২০২৫
- বারাক রাভিদ। "গাজা যুদ্ধবিরতি ও বন্দি মুক্তির চুক্তি সম্পন্ন" — Axios, ১৫ জানুয়ারি, ২০২৫। সংগ্রহের তারিখ: ১৬ জানুয়ারি, ২০২৫