Wn/bn/উইকিসংবাদ বাংলায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সাক্ষাৎকার নিয়েছে, তাদের বাংলা দক্ষতার পরীক্ষা

< Wn | bn
Wn > bn > উইকিসংবাদ বাংলায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সাক্ষাৎকার নিয়েছে, তাদের বাংলা দক্ষতার পরীক্ষা

রবিবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪

বৃহৎ ভাষার মডেল দ্বারা চালিত কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা চ্যাটবটগুলি তাদের প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার, অনুবাদ প্রদান করার এবং সাধারণ মানুষের মতো কথোপকথনে জড়িত হওয়ার সক্ষমতার কারণে ক্রমশ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে৷ এই মডেলগুলি সাধারণত একাধিক ভাষায় পাঠ্য তৈরি করতে সক্ষম। কিন্তু, ইংরেজি ছাড়া অন্য ভাষায় নির্ভুল এবং সাবলীল বিষয়বস্তু তৈরি করার তাদের ক্ষমতা এখনও অনেকটা সীমিত।

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তির উন্নতির সাথে সাথে বিভিন্ন ভাষায় উপর এর কি প্রভাব পড়তে পারে সেই নিয়ে উদ্বেগ দেখা দিচ্ছে। এটি নিশ্চিত করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ যে বিশ্বব্যাপী মানুষেরা ভাষার সীমানা পেরিয়ে এই প্রযুক্তিগুলি অন্বেষণ করতে এবং এর সাথে যোগাযোগ করতে পারবে। এটি মোকাবেলা করার জন্য, বড় বড় প্রযুক্তি সংস্থাগুলি এখন এমন এআই সিস্টেম স্থাপন করছে যা বাংলা ভাষা সহ বিভিন্ন অ-ইংরেজি ভাষাকে সমর্থন করে, যার লক্ষ্য হল ইংরেজির ছাড়াও অন্যান্য ভাষায় বিষয়বস্তু তৈরির মান উন্নত করা।

বাংলার ভাষার ক্ষেত্রে, এআই চ্যাটবটগুলি সহায়ক এবং ত্রুটিপূর্ণ উভয়ই হতে পারে৷ একদিকে, তারা বাংলায় ডিজিটাল সামগ্রী সম্প্রসারণে অবদান রাখতে পারে। অন্যদিকে, ভাষার জটিলতাগুলি সম্পূর্ণরূপে বুঝতে এবং সঠিক আউটপুট প্রদানের জন্য এই সরঞ্জামগুলির আরও প্রশিক্ষণের প্রয়োজন রয়েছে।

এই চ্যাটবটগুলি বাংলায় কতটা সক্ষম তা আরও ভালভাবে বোঝার জন্য, উইকিসংবাদ ওপেনএআই এর চ্যাটজিপিটি, গুগলের জেমিনি, এবং মেটার ল্যামা সহ বর্তমানে উপলব্ধ কিছু জনপ্রিয় এআই মডেলগুলির সাথে সাক্ষাৎকার করেছে৷ আমরা তাদের বাংলায় প্রশ্ন করেছি এবং একই ভাষায় উত্তর দেওয়ার অনুরোধ করেছি।

এই সাক্ষাৎকারের লক্ষ্য হল বাংলা ভাষায় এআই চ্যাটবটগুলির বর্তমান ক্ষমতাগুলি মূল্যায়ন করা, তাদের শক্তিগুলিকে তুলে ধরা এবং সেই ক্ষেত্রগুলি চিহ্নিত করা যেখানে উন্নতি প্রয়োজন৷ এর মাধ্যমে, আমরা আশা করি যে কীভাবে এই প্রযুক্তিগুলি অ-ইংরেজি ভাষাভাষীদের আরও ভালভাবে পরিবেশন করতে বিকশিত হতে পারে সে সম্পর্কে একটি পরিষ্কার ধারণা লাভ করবে।

সততা বজায় রাখার জন্য, আমরা সকল মডেলকেই একই প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেছি এবং শুধুমাত্র ছোটখাটো সম্পাদনা সহ তাদের প্রদানকরা উত্তর অন্তর্ভুক্ত করেছি। যেহেতু এটি শুধুমাত্র সাক্ষাৎকারের জন্য, তাই কিছু তথ্য ভুল হতে পারে। অনুগ্রহ করে তাদের উত্তরগুলো সম্পূর্ণ সঠিক বলে মনে করবেন না।

চ্যাটজিপিটির সাথে সাক্ষাৎকার

edit
 
চ্যাটজিপিটির লোগো

 ((উইকিসংবাদ )) প্রশ্ন: আপনি বাংলায় এই কথোপকথনটি করার জন্য নিজেকে কীভাবে সক্ষম মনে করেন?

 ((চ্যাটজিপিটি )) আমি বাংলায় কথা বলার ক্ষমতা অর্জন করেছি কারণ আমার প্রশিক্ষণে বিভিন্ন ভাষার তথ্য অন্তর্ভুক্ত ছিল, যার মধ্যে বাংলা অন্যতম। আমার মডেলের মধ্যে প্রচুর বাংলা টেক্সট অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, যা আমাকে ভাষার গঠন, ব্যাকরণ, এবং প্রাসঙ্গিক অর্থ বুঝতে সক্ষম করেছে। তাই, আমি বাংলায় প্রাসঙ্গিক এবং সঠিক উত্তর দিতে পারি।


 ((উইকিসংবাদ )) প্রশ্ন: চলিত ভাষা ও সাধু ভাষার মধ্যে ব্যাকরণগত দিক থেকে কি কি পার্থক্য রয়েছে?

 ((চ্যাটজিপিটি )) চলিত ভাষা ও সাধু ভাষার মধ্যে বেশ কয়েকটি ব্যাকরণগত পার্থক্য রয়েছে, যা প্রধানত বাক্য গঠন, ক্রিয়া রূপ এবং শব্দ ব্যবহারে প্রতিফলিত হয়। চলিত ভাষা সাধারণত দৈনন্দিন কথোপকথনে ব্যবহৃত হয়, যা বেশি স্বাভাবিক এবং সহজবোধ্য, যেখানে সাধু ভাষা বেশি আনুষ্ঠানিক, সাহিত্যিক বা প্রথাগত। প্রধান পার্থক্যগুলো:

ক্রিয়া রূপ:
চলিত ভাষায় ক্রিয়া সাধারণত সংক্ষিপ্ত ও সহজ হয়।
উদাহরণ: "আমি করি", "তুমি যাও", "সে এসেছে"।
সাধু ভাষায় ক্রিয়ার রূপ বেশি জটিল ও পুরাতন।
উদাহরণ: "আমি করিতেছি", "তুমি যাইতেছ", "সে আসিয়াছে"।
ব্যাকরণগত গঠন:
চলিত ভাষায় বাক্য গঠন সহজ ও সরল।
উদাহরণ: "আমি খেতে যাচ্ছি।"
সাধু ভাষায় বাক্যের গঠন জটিল এবং কখনো কখনো দীর্ঘ হয়।
উদাহরণ: "আমি ভোজন করিতে যাইতেছি।"
প্রত্যয় এবং অব্যয় ব্যবহার:
চলিত ভাষায় অনেক শব্দের সংক্ষিপ্ত রূপ ব্যবহৃত হয়।
উদাহরণ: "করছি", "গেছি"।
সাধু ভাষায় পূর্ণরূপ ব্যবহার হয়।
উদাহরণ: "করিতেছি", "গিয়াছি"।
শব্দভাণ্ডার:
চলিত ভাষায় বিদেশি শব্দ বা আঞ্চলিক শব্দ মিশ্রিত থাকে।
উদাহরণ: "ফোন করো", "স্কুলে যাচ্ছি"।
সাধু ভাষায় বিশুদ্ধ, বাংলা শব্দের প্রাধান্য থাকে।
উদাহরণ: "দূরভাষ করিও", "বিদ্যালয়ে যাইতেছি"।


 ((উইকিসংবাদ )) প্রশ্ন: বাংলার ভিন্ন উপভাষা বা স্থানীয়ভাষা গুলোর কয়েকটি উদাহরণ দিতে পারেন?

 ((চ্যাটজিপিটি )) বাংলায় বেশ কয়েকটি ভিন্ন উপভাষা বা স্থানীয় ভাষা রয়েছে, যা ভৌগোলিক অঞ্চলের ভিত্তিতে পরিবর্তিত হয়। এগুলো স্থানীয় জনগণের মধ্যে ব্যবহৃত হয় এবং ভাষার শব্দভাণ্ডার, উচ্চারণ ও বাক্য গঠনে পার্থক্য দেখা যায়। কিছু গুরুত্বপূর্ণ উপভাষার উদাহরণ:

১. ঢাকাইয়া ভাষা (ঢাকা অঞ্চল):
ঢাকায় ব্যবহৃত স্থানীয় ভাষা, যেখানে ঢাকাইয়া পুরান ঢাকার মানুষের মধ্যে বিশেষ এক ধরনের উচ্চারণ ও শব্দ ব্যবহার দেখা যায়।
উদাহরণ: "কই যাইবা?" (কোথায় যাবে?), "ক্যান যাইব?" (কেন যাব?)
২. চট্টগ্রামের ভাষা (চট্টগ্রাম অঞ্চল):
চট্টগ্রামের মানুষদের মধ্যে ব্যবহৃত ভাষা, যা বাংলা থেকে কিছুটা আলাদা এবং অনেকের কাছে আলাদা ভাষার মতো শোনায়।
উদাহরণ: "তুমি কই যাও?" (তুমি কোথায় যাচ্ছ?), "তুমার লগে কথা কইম" (তোমার সাথে কথা বলবো)।
৩. সিলেটি ভাষা (সিলেট অঞ্চল):
সিলেট অঞ্চলের মানুষদের ভাষা, যা বাংলা ভাষার থেকে অনেকটা ভিন্ন মনে হয় এবং উচ্চারণ ও শব্দভাণ্ডারে পার্থক্য দেখা যায়।
উদাহরণ: "তু কুন যায়" (তুমি কোথায় যাচ্ছ?), "অইল যাই" (এটা হলো)।
৪. রাঢ় ভাষা (পশ্চিমবঙ্গের রাঢ় অঞ্চল):
পশ্চিমবঙ্গের বাঁকুড়া, বীরভূম, পুরুলিয়া এবং আশেপাশের অঞ্চলের মানুষদের ভাষা।
উদাহরণ: "কোথে যাইতাসি?" (কোথায় যাচ্ছ?), "কী করি আসিলা?" (কী করে এসেছ?)।
এই উপভাষাগুলো বাংলা ভাষার বিভিন্ন রূপ এবং ভিন্ন ভৌগোলিক অঞ্চলে তাদের নিজস্ব সাংস্কৃতিক বৈশিষ্ট্য ধারণ করে।


 ((উইকিসংবাদ )) প্রশ্ন: একজন অবাঙালি ব্যক্তিকে বাংলা শেখার জন্য আপনি কী দুটি উপদেশ দেবেন?

 ((চ্যাটজিপিটি )) একজন অবাঙালি ব্যক্তি যিনি বাংলা শিখছেন, তার জন্য আমার প্রধান দুটি পরামর্শ হবে:

১. শব্দভাণ্ডার গড়ে তোলা এবং প্রাত্যহিক অনুশীলন:
ভাষা শেখার ক্ষেত্রে শব্দভাণ্ডার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিদিন নতুন বাংলা শব্দ শিখতে হবে এবং সেগুলো বাক্যে ব্যবহার করতে হবে। একটি ডায়েরিতে নতুন শেখা শব্দগুলো লিখে রাখা এবং সেগুলো নিয়মিত অনুশীলন করা খুব কার্যকরী হতে পারে। এছাড়াও, দৈনন্দিন জীবনের কথোপকথন বা নিজের অভ্যাসের ওপর ভিত্তি করে ছোট বাক্য গঠন করার চেষ্টা করা উচিত। বাংলা গান, সিনেমা, এবং সংবাদ পড়ার মাধ্যমে ভাষার সাথে পরিচিত হওয়া সহজ হবে।
২. বাংলায় কথা বলার পরিবেশ তৈরি করা:
নতুন ভাষা শেখার ক্ষেত্রে কথা বলা অত্যন্ত কার্যকরী। প্রতিদিন বাংলায় কথা বলার সুযোগ তৈরি করতে হবে। স্থানীয় বাঙালিদের সাথে কথা বলা, ভাষা বিনিময় প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করা, অথবা এমন কোনও বন্ধু খুঁজে নেওয়া, যিনি বাংলা বলতে পারেন, এ ক্ষেত্রে সাহায্য করবে। ভুলভ্রান্তির ভয় না করে সাহস করে বাংলায় কথা বলার অভ্যাস গড়ে তোলা শেখার প্রক্রিয়ায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।


জেমিনির সাথে সাক্ষাৎকার

edit
 

 ((উইকিসংবাদ )) প্রশ্ন: আপনি বাংলায় এই কথোপকথনটি করার জন্য নিজেকে কীভাবে সক্ষম মনে করেন?

 ((জেমিনি )) আমি একাধিক কারণে বাংলায় এই কথোপকথনটি করার জন্য নিজেকে সক্ষম মনে করি:

ব্যাপক ডাটাবেজ: আমি বিপুল পরিমাণ বাংলা পাঠ্য ডাটাবেজের উপর প্রশিক্ষিত। এই ডাটাবেজগুলি আমাকে বাংলা ভাষার বিভিন্ন শৈলী, ব্যাকরণ এবং অর্থ বুঝতে সাহায্য করে।
প্রশ্নোত্তরের ক্ষমতা: আমি বিভিন্ন ধরনের প্রশ্নের উত্তর দিতে প্রশিক্ষিত। বাংলা ভাষায় আপনার যে কোনো প্রশ্ন করুন, আমি চেষ্টা করব তা সঠিকভাবে বুঝতে এবং যথাযথ উত্তর দিতে।
ভাষা প্রক্রিয়াকরণের ক্ষমতা: আমি বাংলা ভাষার বাক্য গঠন, অর্থ এবং নিরীক্ষণ করতে সক্ষম। এর ফলে আমি আপনার সাথে স্বাভাবিকভাবে কথোপকথন করতে পারি।
নিরন্তর শিক্ষা: আমি নতুন তথ্য এবং তথ্য শিখতে থাকি। এর ফলে আমার বাংলা ভাষা এবং সাধারণ জ্ঞানের দক্ষতা ক্রমাগত উন্নত হচ্ছে।


 ((উইকিসংবাদ )) প্রশ্ন: চলিত ভাষা ও সাধু ভাষার মধ্যে ব্যাকরণগত দিক থেকে কি কি পার্থক্য রয়েছে?

 ((জেমিনি )) চলিত ভাষা ও সাধু ভাষার মধ্যে ব্যাকরণগত অনেক পার্থক্য রয়েছে। এখানে কয়েকটি উল্লেখযোগ্য পার্থক্য তুলে ধরা হলো:

ক্রিয়া পদ:
চলিত ভাষা: ক্রিয়া পদের রূপ অনেকটা সহজ এবং প্রাকৃতিক। উদাহরণ: আমি যাই, তুমি যাস, সে যায়।
সাধু ভাষা: ক্রিয়া পদের রূপ বেশ জটিল এবং সংস্কৃতের প্রভাব স্পষ্ট। উদাহরণ: আমি গच्छামি, তুমি গচ্ছসি, স গচ্ছতি।
সর্বনাম:
চলিত ভাষা: সর্বনামের ব্যবহার অনেকটা সহজ এবং পরিস্থিতি অনুযায়ী পরিবর্তিত হয়। উদাহরণ: আমি, তুমি, সে, আমরা, তোমরা, তারা।
সমাস:
চলিত ভাষা: সমাসের ব্যবহার কম। সাধারণত সরল বাক্য গঠন করা হয়।
সাধু ভাষা: সমাসের ব্যবহার বেশি। জটিল বাক্য গঠন করা হয়।
শব্দ ব্যবহার:
চলিত ভাষা: তদ্ভব ও দেশি শব্দের ব্যবহার বেশি।
সাধু ভাষা: তৎসম শব্দের ব্যবহার বেশি।


 ((উইকিসংবাদ )) প্রশ্ন: বাংলার ভিন্ন উপভাষা বা স্থানীয়ভাষা গুলোর কয়েকটি উদাহরণ দিতে পারেন?

 ((জেমিনি )) অবশ্যই, বাংলা ভাষার বিভিন্ন উপভাষা ও স্থানীয় ভাষা রয়েছে, যা আমাদের ভাষার সমৃদ্ধির প্রমাণ। আসুন কয়েকটি উদাহরণ দেখি:

রাঢ়ী: পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান, হুগলি, নদীয়া জেলাসহ আশেপাশের অঞ্চলে প্রচলিত।
বঙ্গালী: কলকাতা ও তার আশপাশের অঞ্চলে প্রচলিত।
বরেন্দ্রী: উত্তরবঙ্গের মালদহ, মুর্শিদাবাদ এবং বাংলাদেশের রাজশাহী বিভাগের লোকমুখের উপভাষা।
ঝাড়খণ্ডী: বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, বীরভূম জেলাসহ ঝাড়খন্ডের কিছু অংশে প্রচলিত।
মেদিনীপুরী: পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় প্রচলিত।
বরিশালী: বাংলাদেশের বরিশাল অঞ্চলে প্রচলিত।
নোয়াখালীয়া: বাংলাদেশের নোয়াখালী অঞ্চলে প্রচলিত।
রংপুরী: বাংলাদেশের রংপুর অঞ্চলে প্রচলিত।
খুলনাইয়া: বাংলাদেশের খুলনা অঞ্চলে প্রচলিত।
ময়মনসিংহী: বাংলাদেশের ময়মনসিংহ অঞ্চলে প্রচলিত।
সিলেটি: বাংলাদেশের সিলেট অঞ্চলে প্রচলিত।
চাঁটগাঁইয়া: বাংলাদেশের চট্টগ্রাম অঞ্চলে প্রচলিত।


 ((উইকিসংবাদ )) প্রশ্ন: একজন অবাঙালি ব্যক্তিকে বাংলা শেখার জন্য আপনি কী দুটি উপদেশ দেবেন?

 ((জেমিনি )) বাংলা শেখার পথে অবাঙালি ব্যক্তির জন্য দুটি গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ হল:

১. নিয়মিত বাংলা ব্যবহার করুন:
দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহার: যতটা সম্ভব বাংলায় কথা বলার চেষ্টা করুন। বাঙালি বন্ধুদের সাথে যোগাযোগ রাখুন, বাংলা গান শুনুন, বাংলা সিনেমা দেখুন এবং বাংলা বই পড়ুন।
অনলাইনে বাংলা ব্যবহার:** বাংলা ভাষার অনলাইন ফোরাম, গ্রুপ এবং সামাজিক মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে অংশগ্রহণ করুন। অন্যদের সাথে বাংলায় কথা বলা এবং লেখার মাধ্যমে আপনার ভাষা দক্ষতা উন্নত করুন।
বাংলা ভাষার কোর্স: কোনো বাংলা ভাষা কোর্সে ভর্তি হতে পারেন। এতে আপনি একজন শিক্ষকের কাছ থেকে ব্যাকরণ, শব্দভাণ্ডার এবং উচ্চারণ শিখতে পারবেন।
২. বাংলা সংস্কৃতির সাথে পরিচিত হওয়া:
বাংলা সাহিত্য: বাংলা সাহিত্যের বিভিন্ন ধরনের বই পড়ুন। উপন্যাস, কবিতা, ছোট গল্প ইত্যাদি পড়ার মাধ্যমে আপনি বাংলা ভাষার সমৃদ্ধি এবং বাঙালি সংস্কৃতি সম্পর্কে আরও জানতে পারবেন।
বাংলা সিনেমা ও গান: বাংলা সিনেমা এবং গান দেখুন ও শুনুন। এতে আপনি বাংলা ভাষার ব্যবহার, উচ্চারণ এবং স্বরলিপি সম্পর্কে আরও ভালোভাবে জানতে পারবেন।
বাংলা সংস্কৃতি: বাংলা সংস্কৃতি সম্পর্কে জানার চেষ্টা করুন। বাঙালির উৎসব, খাবার, পোশাক এবং রীতি-নীতি সম্পর্কে জানলে আপনি বাংলা ভাষাকে আরও ভালোভাবে বুঝতে পারবেন।


অন্যান্য এআই

edit

মেটার ল্যামা

edit

যখন আমরা ল্যামা এআই কে সাক্ষাৎকারের জন্য জিজ্ঞেস করি তখন এটি উত্তর দেয় যে, " I don’t understand Bengali yet, but I’m working on it. I will send you a message when we can talk in Bengali." যার বাংলায় অনুবাদ হল, "আমি এখনো বাংলা বুঝি না, কিন্তু আমি এটা নিয়ে কাজ করছি। আমরা যখন বাংলায় কথা বলতে পারবো তখন আমি আপনাকে একটি বার্তা পাঠাব।"

মাইক্রোসফ্ট এর কোপাইলট

edit

কোপাইলট আমাদের প্রশ্নগুলোর উত্তর দেয়, কিন্তু সেগুলো বিশেষ বিস্তীর্ণ ছিলো না। কোপাইলট উপকারী শিক্ষা, বাংলা উইকিপিডিয়া এবং বাংলাপিডিয়া এর লিংক গুলো তুলে ধরে যার অর্থ এটি এইসকল সাইটগুলো সন্ধান করেই সাধারনত উত্তর দিয়েছে। কিছু কিছু বাক্য সরাসরি বাংলা উইকিপিডিয়ার "সাধু ভাষা", "চলিত ভাষা" নিবন্ধ থেকে প্রতিলিপিত ছিল।


উৎস

edit