Wn/bn/ঈদের ছুটির পরে রবিবার থেকে স্বাভাবিক কার্যক্রম শুরু করবে বাংলাদেশের আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো

< Wn | bn
Wn > bn > ঈদের ছুটির পরে রবিবার থেকে স্বাভাবিক কার্যক্রম শুরু করবে বাংলাদেশের আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো

শনিবার, ৫ এপ্রিল ২০২৫

পবিত্র ঈদ-উল-ফিতরের ছুটির পর আগামীকাল রবিবার থেকে বাংলাদেশের ব্যাংক, বীমা কোম্পানি, ব্যাংক বহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠান (এনবিএফআই) এবং শেয়ারবাজারের কার্যক্রম পুনরায় শুরু হচ্ছে।

মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষে বিশেষ ছুটি ও সাপ্তাহিক ছুটি মিলিয়ে গত ২৮ মার্চ থেকে ৫ এপ্রিল পর্যন্ত টানা ৯ দিন বন্ধ ছিল এসব আর্থিক প্রতিষ্ঠান।

বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা অনুযায়ী, রমজানের আগের সময়সূচী অনুসারে রবিবার থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ব্যাংকগুলোতে সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৩:৩০টা পর্যন্ত লেনদেন চলবে।

অন্যদিকে, বীমা কোম্পানি এবং ব্যাংক বহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর (এনবিএফআই) অফিস কার্যদিবসে সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত খোলা থাকবে।

ছুটিতে একটানা নয়দিন বন্ধ থাকার পর আগামীকাল (রবিবার) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) লেনদেন ও দাপ্তরিক কার্যক্রম আবার শুরু হচ্ছে।

শেয়ারবাজারে যথারীতি সকাল ১০টায় লেনদেন শুরু হবে এবং দুপুর ২:৩০টা পর্যন্ত চলবে। এর মধ্যে শেষ ১০ মিনিট হবে পোস্ট-ক্লোজিং সেশন।

ঈদের ছুটির আগে শেষ কার্যদিবস ছিল ২৭ মার্চ। সেদিন স্বল্পমেয়াদী লাভের আশায় কিছু নির্দিষ্ট স্টকের প্রতি বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ দেখা যায়। ফলে ঢাকার শেয়ারবাজার ঊর্ধ্বমুখী ছিল। ঐদিন ডিএসই-র প্রধান সূচক ৪.৯৫ পয়েন্ট বেড়ে ৫,২১৯ পয়েন্টে স্থির হয়। তবে লেনদেন ১৮ শতাংশ কমে ৩১৫ কোটি টাকায় নেমে আসে।

অন্যদিকে, ঈদের ছুটির আগের শেষ কার্যদিবসে (২৭ মার্চ) চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সূচক কিছুটা কমেছে। সিএসই-র সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ১৬ পয়েন্ট কমে ১৪,৫৪১ পয়েন্টে এবং সিএসসিএক্স সূচক ১১ পয়েন্ট কমে ৮,৮৪২ পয়েন্টে স্থির হয়।

এদিকে মার্কিন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানির ওপর নতুন শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছেন, যার মধ্যে বাংলাদেশও রয়েছে। এই ঘোষণায় বাংলাদেশের শেয়ারবাজারের বিনিয়োগকারীরা উদ্বিগ্ন। তারা বাণিজ্য যুদ্ধ শুরু হওয়া এবং অর্থনৈতিক মন্দার ঝুঁকি বাড়ার আশঙ্কা করছেন।

ট্রাম্পের নতুন পাল্টাপাল্টি শুল্ক নীতির অংশ হিসেবে বুধবার বাংলাদেশ থেকে আমদানির ওপর শুল্ক বিদ্যমান ১৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৩৭ শতাংশ করা হয়েছে।

বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বাংলাদেশি পণ্যের ওপর এই বাড়তি আমদানি শুল্ক দেশের রপ্তানি এবং শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত রপ্তানিমুখী কোম্পানিগুলোর মুনাফায় নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত পোশাক খাতের ৫৮টি কোম্পানির বেশিরভাগই রপ্তানিমুখী। এছাড়া তালিকাভুক্ত ৩৪টি ওষুধ কোম্পানির মধ্যে কয়েকটি যুক্তরাষ্ট্রে ওষুধ রপ্তানি করে।

এই বাড়তি আমদানি শুল্কের কারণে রপ্তানিমুখী কোম্পানিগুলো এখন ক্ষতিগ্রস্ত হবে, যার প্রভাব পড়বে শেয়ারবাজারের বিনিয়োগকারীদের ওপর।

এছাড়া, যুক্তরাষ্ট্রের ব্যাপক শুল্ক পরিকল্পনার কারণে বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। এর ফলে শুক্রবার টানা দ্বিতীয় দিনের মতো বিশ্বজুড়ে শেয়ারবাজারে দরপতন হয়েছে। এর সাথে চীনও মার্কিন পণ্যের ওপর অতিরিক্ত ৩৪ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেওয়ায় দরপতন আরও তীব্র হয়েছে।


উৎস

edit