Wn/bn/অনিবন্ধিত মোবাইল ফোন নিবন্ধিত করতে হবে পহেলা জুলাইয়ের মধ্যে, নিবন্ধিত হবে চালু সেটও

< Wn‎ | bn
Wn > bn > অনিবন্ধিত মোবাইল ফোন নিবন্ধিত করতে হবে পহেলা জুলাইয়ের মধ্যে, নিবন্ধিত হবে চালু সেটও
নিরীক্ষণের জন্য অপেক্ষমান!  এই নিবন্ধটি ২৬ এপ্রিল, ২০২৪ অনুযায়ী নিরীক্ষণ বা পর্যালোচনা করা হয়নি। এখানে প্রদর্শিত তথ্যগুলোর পুনঃমূল্যায়ন করুন। (আরও জানুনশোধন)

রবিবার, ২০ জুন ২০২১

৩০ জুনের মধ্যে চালু বৈধ-অবৈধ সকল মোবাইল ফোন নিবন্ধিত হয়ে যাবে এমনটি জানিয়েছে বিটিআরসি। তবে পহেলা জুলাই থেকে কোনো অবৈধ সেট নিবন্ধন করা যাবে না। অবৈধ বলতে বিদেশ থেকে স্ব-উদ্যোগে আনা ফোন এবং অননুমোদিত, ক্লোনড বা নকল ফোন যা অবৈধ বা কর ফাঁকি দিয়ে আনা হয়েছে সেগুলোকে বোঝায়। প্রথম তিন মাস কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, তবে পরে অবৈধ সেটের মালিকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এই নিবন্ধন সবার জন্য বাধ্যতামূলক।

১লা জুলাই থেকে এনইআইআর বা জাতীয় যন্ত্রপাতি চিহ্নিতকরণ নিবন্ধন প্রযুক্তিতে আইএমইআই(ইংরেজি:IMEI) নম্বর, সিম কার্ডের এমএসআইএসডিএন(ইংরেজি: MSISDN) নম্বর ও সিম কার্ডের ক্রেতাদের বায়োমেট্রিক তথ্য বিটিআরসি-র কাছে সংরক্ষিত থাকবে। আগেও এই তথ্য বিটিআরসির কাছে ছিলো, তাই সম্ভবত এটি বাধ্যতামূলক করার নির্দেশনা এখন এসেছে।

বিদেশ থেকে এখনো ফোন কারো আত্মীয় উপহার পাঠাতে পারবে। তবে ফোন বেশি পরিমাণে হলে কর দিতে হবে। ব্যবস্থা হিসেবে ফোন কার্যকর থাকলেও সিম দিয়ে কল করা, ক্ষুদে বার্তা পাঠানো যাবে না।

নিবন্ধনের জন্য গ্রাহকরা এই ওয়েব ঠিকানায় বা নেটওয়ার্ক মালিকদের গ্রাহক সেবা কেন্দ্র থেকে সেবাটি নিতে পারবেন। ফোনের আইএমইআই জানা থাকলে *১৬১৬১# নম্বরে কল করে অথবা ‘KYD<space>15 digit IMEI number’ এটি উদ্ধৃতি ছাড়া লিখে ১৬০০২ এ ক্ষুদে বার্তা হিসেবে পাঠাতে পারেন। যারা এই আইএমইআই জানেন না তারা *#০৬# এ কল করে তা জেনে নিতে পারেন।

এখন থেকে ফোন কেনার সময় রশিদ জমা রাখতে হবে এবং বৈধতা যাচাই করে নিতে হবে। হ্যান্ডসেট বিক্রি করতে চাইলে, গ্রাহক সেবা কেন্দ্রে নিজের জাতীয় পরিচয় সংখ্যা থেকে ফোনের আইএমইআই সংখ্যার নিবন্ধন বাতিল করতে হবে। তারপর ওই ফোনটির নতুন মালিক তার নামে এর নিবন্ধন করবে। পহেলা জুলাইয়ের পর যে ফোন অকেজো হয়ে যাবে তাদেরকে বার্তা দিয়ে জানানো হবে এবং নিবন্ধনের জন্য তিন মাস সময় দেয়া হবে। নির্দিষ্ট সময়ে এই নিবন্ধন না করলে ফোনে কোনো সিম কাজ করবে না।

এই বিষয়ে পারদর্শী ব্যক্তিরা জানান দেশে ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ ফোন অবৈধভাবে আমদানিকৃত। যাতে সরকার ১ হাজার থেকে ১.২ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব হারায়। বাংলাদেশ মোবাইল ফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মহিউদ্দিন বলেন যে এই বিষয়ে বিটিআরসিকে প্রচারণা চালাতে হবে। তিনি আরও জানান ফোনের জন্য বৈধভাবে বিদেশ থেকে আনা ফোনে ৫৭ শতাংশ কর দিতে হয়। বাংলাদেশে উচ্চ কর হারের জন্য স্মার্টফোন ফোনের গ্রাহক বোতাম ফোনের চেয়ে কম।

এর আগে পরিকল্পনামন্ত্রীর অনিবন্ধিত ফোন চুরি হয়েছিল। তার প্রায় এক মাস পর এই ঘোষণা আসে।


উৎস edit


  শেয়ার করুন!
  শেয়ার করুন!